চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির কার্যকরী সমিতি আজ ২রা আগস্ট ‘২০ তারিখে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মিলিত হন। আলোচনায় প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে যে, COVID 2019 বর্তমানে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে এবং দিনের-পর-দিন করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এবং এই রোগের প্রতিষেধক পূজার আগে প্রবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। এরূপ অবস্থায় বিগত অন্যান্য বছরগুলির ন্যায় আড়ম্বরযুক্ত পূজা অনুষ্ঠানাদি এই বছর অনুষ্ঠিত করা সম্ভবপর হবে না।
রাজ্য সরকার কর্তৃক জারীকৃত মাসে প্রায় ৮ দিন করে সম্পূর্ণ লকডাউন পালিত হওয়ার পর আগামী প্রায় ৩ মাস ২০ দিন অতিক্রম করে জগদ্ধাত্রী পূজার সময়ে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে এই অনুমান করে আড়ম্বরহীন ও জৌলুসহীন মাতৃ আরাধনায় আমরা ব্রতী হব। সেক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সম্মুখ খোলা মন্ডপ নির্মাণ করে প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্ববন্দিত চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার ঐতিহ্যের পরিপন্থী, কম উচ্চতা সম্পন্ন প্রতিমা অর্থাৎ ছোট ঠাকুর পূজা করা সমীচীন হবে না। সেক্ষেত্রে, স্বাভাবিক জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নির্মাণ করতে কোন প্রকার সরকারি বিধি নিষেধ থাকলে আমরা ঘট পূজার পথে এগোব। অর্থাৎ, হয় ঐতিহ্যশালী জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নচেৎ ঘট পূজা।
‘২০ সালের জয়ন্তী বর্ষ পালনকারী পূজা কমিটিগুলি, আগামী বছর ‘২১ সালের জয়ন্তী বর্ষ পালনকারী পূজা কমিটিগুলির সাথে, তাদের জয়ন্তী বর্ষ পালনের পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়িত করার সুযোগ পাবেন যদি আগামী বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।
সামগ্রিক পরিস্থিতির বিচার-বিশ্লেষণ করে জগদ্ধাত্রী পূজা অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত রূপরেখা পূজার প্রায় ২ মাস আগে অর্থাৎ ২০শে সেপ্টেম্বর ‘২০ তারিখে প্রশাসনিক অনুমতি সাপেক্ষে বিশেষ সভার মাধ্যমে নির্ণয় করা হবে।
শুভজিৎ সাউ / শ্যামল কুমার ঘোষ
যুগ্ম সম্পাদক
চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটি